December 6, 2023, 8:10 pm

দেবহাটায় এলাহী বক্স মাদরাসায় শূণ্য পদে নিয়োগ, অর্ধশত সাংবাদিকের হানা!

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটার কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদরাসায় শূণ্য দুটি পদের মধ্যে নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় দক্ষিণ কুলিয়াস্থ মাদরাসার নিজস্ব ভবনের দো-তলায় এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং জেলা শিক্ষা অফিস অনুমোদিত নিয়োগ বোর্ডের উপস্থিতিতে ১০ জন আবেদনকারী এ পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে ইয়াকুব আলী নামের এক যুবক নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ লাভ করেন।

এদিকে একইদিনে অপর শূণ্য আয়া পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিতের কথা থাকলেও, অনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়ায় স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রে ওই পদের অধিকাংশ প্রার্থী উপস্থিত থেকেও শেষ মুহূর্তে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় আয়া পদের নিয়োগটি স্থগিত রাখা হয়। এদিকে নিয়োগ পরীক্ষার খবর পেয়ে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার অন্তত অর্ধশত সাংবাদিক সাতসকালেই হাজির হন মাদরাসাটিতে। দু’এক ঘন্টা ঘোরাঘুরি ও ছবি-টবি তোলার পর এদের কেউ বাইকের জ্বালানি তেল আবার কেউ মিষ্টি ভোজনের হাদিয়া নিয়ে শহরমুখো হন।

মাদরাসার সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বরখাস্ত থাকা মাদরাসার সুপার আব্দুল কুদ্দুস বিভিন্ন ব্যক্তিকে মাদরাসায় নিয়োগ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে নানা সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। তাদেরই একজন মাদরাসার আংশিক জমিদাতা দক্ষিণ কুলিয়া গ্রামের মমতাজ বেগমের মেয়ে ও আয়া পদের প্রার্থী মনিরা খাতুন। পূর্ববর্তী ম্যানেজিং কমিটি ও বরখাস্ত হওয়া সুপার আব্দুল কুদ্দুস মনিরা খাতুনকে মাদরাসায় নিয়োগদানে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন।

নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মনিরা খাতুন ও তার চারজন প্রক্সি নারীসহ মোট ছয়জন আয়া পদে আবেদন করেন। এরপর থেকে পূর্ববর্তী ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্য সহ স্থানীয় একটি চক্র মনিরা খাতুনকে কোন প্রকার পরীক্ষা ছাড়াই অবৈধভাবে নিয়োগ দিতে তাকে ও শিক্ষকদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি এবং নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিলেন।

শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে চারজন প্রক্সি পরীক্ষার্থীসহ ওই চক্রটি আয়া পদের প্রার্থী মনিরা খাতুনকে অবৈধভাবে নিয়োগ না দিলে পরীক্ষা হবেনা ঘোষনা দিয়ে মাদরাসা চত্বরে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেন। এসময় তাদেরকে বিধি মোতাবেক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুরোধ করা হলেও তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

আয়াপদে আবেদনকারীদের মধ্যে কেবলমাত্র একজন প্রকৃত প্রার্থী থাকায় এবং মনিরা খাতুনসহ তার সাজানো বাকি প্রক্সি প্রার্থীরা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে না চাওয়ায় ওই পদের নিয়োগ পরীক্ষাটি সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর