December 3, 2023, 2:32 pm

নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ও চাকরি না পেয়ে মাদরাসা সুপারকে মারপিট

 

স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটায় কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদরাসায় শূণ্য আয়া পদে পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগের আবদার করে প্রত্যাখ্যাত এবং নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ না দুই চাকরি প্রত্যাশীর স্বজনরা মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আনোয়ারুল ইসলাম (৪৭) কে মারপিট করেছেন। তিনি সদর উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামের দীন মোহাম্মদ মোল্যার ছেলে।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) আয়া পদের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হলে এবং নিরাপত্তা প্রহরী পদে পরীক্ষা হলেও নিয়োগ না পেয়ে দুপুর ২টার দিকে আয়া পদের প্রার্থী মনিরা খাতুনের মা মমতাজ বেগম ও নিরাপত্তা প্রহরী পদের প্রার্থী শোয়েব আলীর শ্বশুর আশরাফুলসহ ২০/২৫ জন নারী-পুরুষ মাদরাসা চত্বরে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত সুপার আনোয়ারুল ইসলামকে মারপিট করেন।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার মাদরাসার শুণ্য নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ অনুষ্ঠিতের দিন ছিল। সম্প্রতি বিনা পরীক্ষায় মেয়ে মনিরাকে আয়া পদে নিয়োগ দিতে মাদরাসার পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন জমিদাতা দক্ষিণ কুলিয়া গ্রামের মমতাজ বেগম। পদটিতে ৬ জন নারী প্রার্থী আবেদন করেন। যাদের মধ্যে একজন প্রকৃত প্রাথী ছিল এবং বাকিরা মনিরা খাতুনের সাজানো প্রার্থী হিসেবে প্রক্সি দিতে এসেছিল। মনিরা খাতুন ও তার স্বজনেরা সকাল থেকেই মাদরাসায় নিয়োগ পরীক্ষা বাধাগ্রস্তের চেষ্টা করছিল। তাদের দাবি ছিল বিনা পরীক্ষায় মনিরা খাতুনকে নিয়োগ দিতে হবে, অন্যথায় পরীক্ষা হবেনা। কিন্তু বিধি বর্হিভূতভাবে বিনা পরীক্ষায় মনিরা খাতুনকে নিয়োগ দেয়ার কোন আইনগত সুযোগ না থাকায় তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে পরীক্ষাটি স্থগিত করে কেবলমাত্র নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। অপরদিকে নিরাপত্তা প্রহরী পদে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে শোয়েব আলী নামের একজন অকৃতকার্য হয়। এতে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষুব্ধ হন চাকরি প্রত্যাশী মনিরা খাতুনের মা মাদরাসার জমিদাতা মমতাজ বেগম ও শোয়েব আলীর শ্বশুর আশরাফুল ইসলাম।

নিয়োগ পরীক্ষা শেষে ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা মাদরাসা থেকে চলে গেলে অতর্কিত প্রতিষ্ঠানটিতে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত সুপার আনোয়ারুল ইসলামকে মারপিট শুরু করেন ওই দুই চাকরি প্রত্যাশীর স্বজনরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

এঘটনায় ভারপ্রাপ্ত সুপার আনোারুল ইসলাম বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেবহাটা থানার ওসি বাবুল আক্তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর