গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর শনিবার সাতক্ষীরার বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘দেবহাটায় একরাতে দুই পরিবারকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের করিম সরদারের ছেলে মনিরুল ও আব্দুল গণি এবং পার্শ্ববর্তী ডেলটা পিয়ার আলী মোড়ের বাসিন্দা আকতার উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক।
প্রতিবাদে মনিরুল, আব্দুল গণি ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেবহাটার চাঁদপুরে সংঘটিত লুটের ঘটনার ভিকটিম আব্দুল্যাহ গাজী আমাদের বিরুদ্ধে তাকে ও তার স্ত্রীকে চেতনানাশক মেশানো খাবার খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুটের যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। প্রকৃতপক্ষে আব্দুল্যাহ গাজীর সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কের কারণে কয়েকমাস আগে দুটি স্বর্ণের চেইন ও একজোড়া কানের দুল বন্ধক রেখে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলাম। ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার ধারের টাকা পরিশোধ করে আব্দুল্যাহ গাজীর কাছ থেকে আমাদের ওই বন্ধকী স্বর্ণালঙ্কার ফেরত নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আব্দুল্যাহ গাজী ও তার স্ত্রী আমাদের বন্ধকী স্বর্ণালঙ্কার ফেরত না দিয়ে আত্মসাতের কু-পরিকল্পনায় এ লুটের নাটক মঞ্চস্থ করে এবং আমাদের ওপর ঘটনায় দায় চাপাতে সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে মিথ্যা তথ্যা দেয়।
মুলত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে আব্দুল্যাহ গাজী এবং আমরা সখিপুর মোড়ের হবিবর (হবি) নামের একটি হোটেল থেকে মোগলাই পরোটা কিনে একসাথে ভাগাভাগি করে প্রত্যেকে বাড়িতে নিয়ে যাই। আমরা বা আমাদের পরিবারের সদস্যরাও ওই একই খাবার খেয়েছি। সে রাতে বাড়ি ফেরার পর পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক লুটের নাটক সাজায় এবং পরদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনকে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের বন্ধকী স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাতের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
আমরা সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক আব্দুল্যাহ গাজীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আমাদের বন্ধকী স্বণালঙ্কার ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply