December 6, 2023, 8:09 pm

দুর্নীতি ও অনিয়মে জর্জরিত সাতক্ষীরার ধুলিহর নেহালপুরের পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ছোট ভাই সভাপতি বড়ো ভাই প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্ব

 

 

 

 

দুর্নীতি ও অনিয়মে জর্জরিত হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার ধুলিহর নেহালপুরের পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। আর অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান সভাপতি ও বড়ো ভাই প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান এর দ্বন্দ্ব। অনিয়ম-দুর্নীতি ও সভাপতি-প্রধান শিক্ষককের দ্বন্দ্বে ব্যাঘাত ঘটছে স্কুলের ২৮০ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে। এই দ্বন্দ্বের জেরে সাতক্ষীরার ধুলিহর নেহালপুরের পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জোর জবরদস্তি দুই মাসের ছুটির আদেশ দিয়েছে বিদ্যালয়ের সভাপতি।

প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোট ভাই খুলনা জেলা পরিষদ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত নেহালপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও আরও একটি স্কুলের সভাপতির পদ দখল করে দুর্নীতি ও ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে আসছে। আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স,ম আব্দুর রউফ ১৯৭১ সালে ততকালীন ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন নেহালপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। আমি এই স্কুলে সু’নামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। তার (মাহবুবুর রহমানের) স্কুলের সভাপতি হওয়ার কোনো নিয়ম নেই। তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী। আইন গত ভাবে, নিয়ম মাফিক ভাবে তিনি সভাপতি হতে পারেনা। অনিয়ম ও প্রভাব বিস্তার করে চার বার এই বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়েছেন। তিনি এপর্যন্ত ৬জন অযোগ্য শিক্ষককে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। এখন এক জন অযোগ্য কে শিক্ষক হিসেবে আবারও নিয়োগ দিচ্ছেন। তার এই অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় ও তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে দুই মাসের জন্য স্কুল থেকে সরিয়ে দিয়েছে। আমি দুর্নীতিবাজ মাহবুবুর রহমানের কবল থেকে এই স্কুলকে রক্ষা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, মাহবুবুর রহমানের এমন সব দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও দিয়েছি বহুবার। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমি চার বার ধুলিহর নেহালপুরের পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। হেডমাস্টার হাফিজুর রহমান আমার বড়ো ভাই। তার নামে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার এসব অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত তাকে দুই মাসের অর্জিত ছুটি দেওয়া হয়েছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শাজাহান কবীর বলেন, ধুলিহর নেহালপুরের পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ও প্রধান শিক্ষককে জোরকরে ছুটিতে পাঠানোর ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। মাহবুবুর রহমান স্কুলের সভাপতি হতে পারবে কিনা আমার জানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর