December 6, 2023, 9:47 pm

বন্ধন এক্সপ্রেস নো-ম্যান্সল্যান্ড পার হয়ে বেনাপোল বর্ডারে আসা মাত্রই চোরাচালানীরা জানালার দুই পাশ দিয়ে অবৈধ পন্য সরিয়ে ফেলছে

যশোর প্রতিনিধি :-

বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর স্টেশন পৌছানোর আগে বেনাপোল চেকপোষ্টে কিছুক্ষন থামিয়ে রেখে বিজিবির সদস্যরা ট্রেনে তল্লাশি ও নিরাপত্তার জন্য উঠে পড়ে যা তাদের গন্তব্য বেনাপোল রেলস্টেশন পর্যন্ত ৷ এরই ফাঁকে এক ধরনের চোরাকারবারি সিন্ডিকেট ও মাদক ব্যবসায়ীরা বর্ডারের বড় আঁচড়া মোড় আফিল মার্কেটের সামনে ও আনসার ক্যাম্পের পিছন থেকে ছোট আঁচড়া মোড় রেল ক্রসিং পর্যন্ত ট্রেনে থাকা তাদেরই ভাড়া করা বাংলাদেশী ও ভারতীয় ল্যাগেজ পাটি এবং জনেরা ট্রেনের জানালার দু-পাশ দিয়ে বিভিন্ন চোরাচালানী ও অবৈধ মাদক পন্য ফেলা শুরু করে। এই অবৈধ পণ্যের ভিতরে সরকার কতৃর্ক নিষিদ্ধ ফেনসিডিল ও স্কিন ক্রিম, বিপুল পরিমান বিদেশী মদ, মোটর পার্টস, শাড়ি, থ্রিপিস, ল্যাব টেষ্ট বিহীন ভারতীয় বিভিন্ন খাবার রয়েছে। সকল ল্যাগেজ গুলো নেওয়ার জন্য আগে থেকেই যার যার লোক ওই সমস্ত এলাকায় রেললাইনের দুই পাশে অপেক্ষা করে থাকেন।

রবিবার ও বৃহস্পতিবার ট্রেন ভারতীয় নোম্যান্স ল্যান্ড পার হয়ে বেনাপোল বর্ডারে পৌঁছানো মাত্রই সাথে সাথে শুরু হয় অবৈধ মালামাল ফেলা। এ সকল অবৈধ চোরাচালানী পণ্য ওখানে প্রশাসনের নিয়োজিত ও উপস্থিত কর্মকর্তাদের সামনেই ঘটে থাকে । এ সমস্ত চিত্র ভিডিও ফুটেজ আকারে বিভিন্ন টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা, এবং অনলাইনে প্রচার হওয়ার পরও প্রশাসনের টনক নড়ছে না।

এরপর বন্ধন এক্সপ্রেস বেনাপোল রেল স্টেশনে পৌঁছালে পাসপোর্ট যাত্রী ,ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের কাছে যতটুকু ভারতীয় পন্য বা মালামাল পাওয়া যায়, সেখান থেকে কিছু পন্য কাস্টম কর্তৃপক্ষ ডিএম করে থাকেন, আর কিছু মাল অর্থের বিনিময়ে স্টেশন থেকে বেরিয়ে যায়, যার সাথে জড়িত থাকে চোরাকারবারি সিন্ডিকেট, ভূই ফোঁড় অনলাইনের সাংবাদিক ঐ সকল সংবাদকর্মীরা (বেনাপোলের কোন প্রেসক্লাবে অন্তর্ভুক্ত নয়) স্টেশনে নিয়োজিত কিছু অসাধু সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক পরিচয় দানকারী নেতা।

গত বৃহস্প্রতিবার ৩১ আগষ্ট বিজিবি ৮০ হাজার টাকার মূল্যের বিটেক্স মলম সহ শাহ জালাল টুটুল (১৯) নামে এক চোরাচালানীকে আটক করেন। সে বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আমদানি কারক জানান, ট্রেনে প্রচুর পরিমাণ মালামাল আসে কিন্তু কাস্টমস আটক করতে পারে না কারন স্টেশনে ট্রেন যাওয়ার আগেই সব মালামাল ফেলা দেওয়া হয়। ট্রেন বাংলাদেশে প্রবেশের পর জিরো পয়েন্টে থেকে স্টেশন প্রায় ২ কিঃমিঃ স্টেশন যাওয়ার আগেই সব ক্লিয়ার। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ৷

তিনি আরো জানান প্রায় ২ থেকে ৩ শত ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী আছে তারা বিজনেস ভিসা লাগিয়ে সকালে মালামাল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মালামাল বিক্রি করে আবার বিকালে ভারতে চলে যান। তাদের এটা ব্যবসা। বর্তমানে চেকপোস্টে কাস্টমসের দুইজন কর্মকর্তার কঠোরতার কারনে এ পথ দিয়ে তারা মালামাল আনতে পারছেন না। এ কারনে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে আসছেন।

মালামাল সহ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার এসআই খালিদ।তিনি বলেন বেনাপোল আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ভারতীয় বিটেক্স মলম সহ শাহ জালাল টুটুল নামে একজন কে চোরাচালানী মামলায় থানায় সোপর্দ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর