বিএম আলাউদ্দীনঃ আশাশুনিতে ঢাকা রমনা জনের এডিসি হারুন-র রশিদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ও প্রিন্ট মিডিয়ায় মিথ্যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত বানোয়াট ভিত্তিহীন খবরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ১০টার দিকে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় নতুন মৎস্য সেটে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল তার বক্তব্যে বলেন, মানুষ বিপদে পড়লে ওঁৎ পেতে থাকা শত্রুরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া তার বাস্তব উদহারণ। এডিসি হারুন কোন জামাত-বিএনপির পরিবার থেকে গড়ে ওঠেনি। এডিসি হারুনের পিতা একজন স্বাধীনতা স্বপক্ষের মানুষ। তিনি মাড়িয়ালা হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত একজন স্বনামধন্য ও পরম শ্রদ্ধেয় ইংরেজি শিক্ষক ছিলেন। তার হাতে গড়া বহু ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি রত রয়েছেন। এডিসি হারুন ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। ৪ দলীয় ঐক্যজোট সরকারের আমলে অনেক নির্যাতন জুলুম অত্যাচারের শিকার হয়েছিল এডিসি হারুন।এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তির পর জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে ১/১১ সময়ে সক্রিয় ভূমিকা ছিল হারুনের। পরে (টিপু-বাদশা কমিটিতে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের পদ লাভ করেন। ৩১ তম বিসিএস এ পুলিশ ক্যাডারে ১ম স্হান লাভ করে সহকারী পুলিশ সুপার/কমিশনার পদে যোগদান করেন। সরকার বিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রামে এডিসি হারুন সফলতার সাথে প্রতিহত করে এসেছেন যা আমরা সবাই জানি। এডিসি হারুনের ছোট মামা মৃত: ইতু সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন, এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি হিসেবে শেখ জুয়েল হাসানের প্রস্তাবক ছিলেন। এডিসি হারুনের সহোদর শরিফুল ইসলাম শরীফ ২০০৬ সালে সাতক্ষীরা দিবা-নৈশ্য কলেজে পড়া কালিন সময়ে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের (আকতার-লিটু) কমিটির নির্বাহী সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর শরীফ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (মামুন-খালেদ কমিটির) পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সোহাগ- জাকিরের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কর্তৃক নিয়োজিত সাতক্ষীরা-০৩ আসনের (আশাশুনি-দেবহাটা- কালিগঞ্জ আংশিক) প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন শরিফ। এডিসি হারুনের সেজ মামার জমি জমা সংক্রান্ত চলমান বিরোধের জেরধরে অহেদ আলী নামের এক ব্যক্তিকে মারপিট করেছিলেন এটা সত্য। কিন্তু যুদ্ধ অপরাধি কাদের মোল্যাকে নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে হারুনের পরিবারকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এডিসি হারুনের খালু মৃতঃ প্রফেসর মোঃ মফিজুল ইসলাম ১৯৯৫-২০১৫ পর্যন্ত বুধহাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি আরো বলেন, দয়া করে মিথ্যাচার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবেন না। সত্য ঘটনা সত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।
Leave a Reply